Header Ads

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট।

 


👉জীবন রক্ষায় সিপিআর।


প্রতিবছর প্রায় ১৮ সিলিয়ন মানুষ হ্নদরোগে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মৃত্যুর কারণ হলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (Cardiac Arrest) হলো একটি জরুরি চিকিৎসা অবস্থা, যেখানে হৃদপিন্ড (heart) হঠাৎ করে ধমকানো বা স্পন্দন (beat) বন্ধ করে দেয়। এর ফলে রক্ত হৃদয় থেকে শরীরের অন্যান্য অংশে (বিশেষ করে মস্তিষ্কে) পৌঁছাতে পারে না, এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হতে পারে যদি তৎক্ষণাত চিকিৎসা শুরু না হয়।


👉কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণসমূহ:

  1. হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) – সবচেয়ে সাধারণ কারণ

  2. অ্যারিদমিয়া (Arrhythmia) – হৃদস্পন্দনের ছন্দের গোলমাল

    • বিশেষ করে: Ventricular fibrillation বা Ventricular tachycardia

  3. ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স

  4. অক্সিজেনের অভাব

  5. বিষক্রিয়া (Drug overdose)

  6. গভীর রকমের ট্রমা বা আঘাত

  7. Congenital heart disease (জন্মগত হৃদরোগ)


⚠️ লক্ষণসমূহ (Signs & Symptoms):

  • হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

  • নাড়ির অনুপস্থিতি (no pulse)

  • শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া

  • চেতনা হারানো


🆘 তৎক্ষণাত করণীয় (Emergency Response):

  1. চিৎকার করে সাহায্য চাইতে হবে এবং 999 বা 112-তে ফোন করুন (বাংলাদেশে)

  2. CPR (Cardiopulmonary Resuscitation) শুরু করুন:

    • বুকের মাঝে জোরে ও দ্রুত চাপ দিন (প্রতি মিনিটে 100–120 বার)

    • প্রশিক্ষণ থাকলে কৃত্রিম শ্বাসও দিন

  3. AED (Automated External Defibrillator) থাকলে ব্যবহার করুন

  4. এম্বুলেন্স আসা পর্যন্ত CPR চালিয়ে যান


🏥 চিকিৎসা ও পুনরুদ্ধার:

  • হাসপাতালে পৌঁছানোর পর রোগীকে ডিফিব্রিলেশন, ওষুধ, ICU-তে পর্যবেক্ষণ, এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধান েরাখা হয়

  • পরে, স্থায়ী সমাধানের জন্য ICD (Implantable Cardioverter Defibrillator) বসানো হতে পারে

No comments

Powered by Blogger.